মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে লোডশেডিং : বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা
চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ না পাওয়ায় মেহেরপুরে লোডশেডিং বেড়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে রাতেও। বিদ্যুতের অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বোরো ধান চাষিরা। এতে বোরো ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের একটি গভীর নলকূপের চালক মফিজুর রহমান বলেন, বোরো আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। জমিতে সেচ দিতে এখন ২৪ ঘণ্টাই সেচপাম্প চালু রাখা প্রয়োজন। কিন্তু সাত থেকে আট ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবার বোরো আবাদ ব্যাহত হতে পারে।
সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আবদুল হান্নান জানান, দিনে এবং রাতে কখন বিদ্যুৎ আসে কখন যায় কোনো নিয়ম নেই। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে না। গ্রামের মাঠে-ঘাটে এবং সড়কে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
মেহেরপুর সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জেল হোসেন জানান, তাদের ১৯ হাজার গ্রাহকের জন্য শীত মৌসুমে প্রতিদিনের চাহিদা ৫ মেগাওয়াট। এক মেগাওয়াট কম সরবরাহ আসছে কারণে ফিডার ভিত্তিক লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু রায়হান জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় গ্রাহক রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার। জেলায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা ১১৬ মেগাওয়াট, অফপিক আওয়ারে চাহিদা ৭০ মেগাওয়াট। বর্তমানে পাচ্ছেন আরো কম।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার জানান, এবার মেহেরপুর জেলায় ২২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বোরো ধান চাষ হচ্ছে। সেচ সংকটে বোরো চাষ কিছুটা ব্যাহত হতে পারে।
পিডিএস/মীর